আলোচনার মাধ‍্যমেই সব সমস‍্যার সমাধান সম্ভব বললেন রাজ‍্যপাল শ্রীরামপুরে র অনুষ্ঠানে

19th February 2020 হুগলী
আলোচনার মাধ‍্যমেই সব সমস‍্যার সমাধান সম্ভব বললেন রাজ‍্যপাল শ্রীরামপুরে র অনুষ্ঠানে


মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বরফ গলেছে,বিবাদ মেটাতে আলোচনাই একমাত্র রাস্তা জানালেন রাজ্যপাল।পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে দ্বায়িত্ব নেবার পর থেকেই জগদীপ ধনকর সরকারের সঙ্গে নানা বিষয়ে বিবাদে জরিয়েছেন।কখনো হেলিকপ্টার ইস্যু কখনো কার্নিভ্যাল।কখনো মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাঁর বাড়িতে নিমন্ত্রন রক্ষা করতে গেছেন।তবুও রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে দূরত্ব কমেনি সরকারের।মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে গিয়ে দুদিন আগে বৈঠক করেন রাজ্যপালের সঙ্গে।আজ শ্রীরামপুরে একটি মেলার উদ্বোধনে এসে রাজ্যপাল বলেন,অর্থমন্ত্রী এসেছিলেন,শিক্ষামন্ত্রী দুবার এসেছেন,মুখ্যমন্ত্রীও এসেছিলেন দুদিন আগে এক ঘন্টা কথা হলো।যতবড়ই সমস্যা হোক,যতই বিবাদই হোক তার সমাধান একটাই আলোচনা করা,কথা বলা।আলোচনা ছাড়া কোনো সমাধান হয় না।ঘর আর দেশে কোনো তফাত নেই।ঘরে কোনো গন্ডোগোল হলে সবাই বোঝায়।কয়েকবার বয়স্কদেরও বোঝায় যে আপনি বেশি বকাবকি করেছেন।এটা আমাদের ঘরের বিষয়।এই বিবাদ বেশি না বাড়াই ভালো।আমি খুশি যে আমারও প্রচেষ্টা ছিলো,অন্যদেরও প্রচেষ্টা ছিলো।এক হাতে তালি বাজে না।ভালো তালিও দুই হাতে বাজে।আমিও তালি বাজাবার চেষ্টা করেছি,সরকারী তরফেও তালি বেজেছে।একটা ভালো ইতিবাচক ফল হয়েছে।লাভ কাদের হলো? পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের।পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ এর।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।